মোঃ কামাল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি
অভয়নগর-মনিরামপুর সীমান্তবর্তী অঞ্চল ভয়ংকর সন্রাসীদের আস্তানায় রুপান্তর হয়ে পড়েছে। যে কারনে চাঁদাবাজি হত্যার মতো ভয়ংকর কর্মকান্ড ওই দুই উপজেলা জুড়ে ঘটে চলেছে। সরেজমিনে তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে অভয়নগরের সুন্দলী ইউনিয়নের ডহুর মশিহাটি গ্রাম ও মনিরামপুর উপজেলার কুলটিয়া ইউনিয়নের সুজাতপুর সহ বেশ কয়েকটি গ্রামে নিরাপদে সন্রাসীদের বসবাস। যে কারনে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, হত্যার মতো ভয়ংকর কর্মকান্ডে তারা লিপ্ত। তারি ধারাবাহিকতায় গত ২২ মে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নওয়াপাড়া পৌর কৃষক দলের সভাপতি তরিকুল ইসলাম কে ঘের অংশীদারের দন্দে নির্মমভাবে হত্যা করে ওইসব সন্রাসীরা। তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, কৃষক দলের সভাপতি তরিকুল ইসলামকে হত্যাকারীরা ওই অঞ্চলে এখনো রয়েছে বহালতবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে। হত্যার মতো নারকীয় ঘটনা ঘটিয়ে সন্রাসীরা সীমান্তবর্তী মনিরামপুর উপজেলার কুলটিয়া, সুজাতপুর অঞ্চল অবস্থান করে। ফলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও পড়ে যায় ধুর্মজালে, সূত্রে জানা গেছে, আ.লীগ নেতা ওলিয়ার হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সেই সন্রাসীদের হাতেই নওয়াপাড়া পৌর কৃষক দলের সভাপতি তরিকুল ইসলাম হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছে বলে ওই অঞ্চলের একাধিক সূত্র থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ঠান্ডা মাথায় ওইসব সন্রাসীরা কৃষক দলের সভাপতি তরিকুল ইসলাম কে হত্যার মতো নারকীয় ঘটনা ঘটিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে। অন্যাদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে কৃষক দলের সভাপতি তরিকুল ইসলামের হত্যাকারীদের আটক করতে একাধিক টিম কাজ করছে। আলোচিত ওই হত্যাকান্ডের নেতৃত্বে দেওয়া ওই অঞ্চলের অনেকের নাম তথ্য অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। তারা প্রয়াত আ.লীগ নেতা ওলিয়ার রহমান হত্যার আসামিরা বলে জানা গেছে। জানা গেছে, আলোচিত ওই হত্যাকান্ডে ভয়ংকর সন্রাসীদের ৬/৭ জন তরিকুল ইসলাম কে হত্যার মিশনে অংশগ্রহণ করে বলে সূত্রে জানা গেছে। অন্যদিকে কৃষক দলের সভাপতি তরিকুল ইসলাম হত্যাকে ধামাচাপা দিতে ওই অঞ্চলের অসাধু কিছু মানুষ নিজেদের ঘরে নিজেরায় আগুন লাগিয়ে ও লুটপাটের গল্প সাজিয়ে সংখ্যালুঘুদের উপর হামলার মিথ্যা নাটক সাজানোর অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে একটি পক্ষ বিভিন্ন মিডিয়াকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে অপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। জরুরি ভাবে তরিকুল ইসলামকে হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত ও অপপ্রচার বন্ধ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে দাবি করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সচেতন মহল।