সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি, আমি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক। ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন ছিলো শিক্ষক হওয়ার,তাই শৈশব থেকে শিক্ষকতা পেশাকে মনে মনে লালন করি। আর সব সময় ভাবতাম আমি যদি শিক্ষক হই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হব। কারণ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা পেশা হচ্ছে মহান পেশা, মর্যাদার পেশা।
আজকের শিশুকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উপযোগী করে গড়ে তোলেন একজন শিক্ষক। দেশ, কাল, জাতিভেদে শিক্ষকের মর্যাদা সবার উপরে,তাই জ্ঞান বিতরণের এই মহান পেশায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসাবে জীবন উৎসর্গ করা কোনও অভিশাপ নয়; বরং আশির্বাদ।
শিক্ষাস্তরের প্রথম ধাপ: প্রাথমিক শিক্ষা।টাকা বা সম্মানীর বিষয়টি না ধরলে মর্যাদার দিক দিয়ে শীর্ষস্তরের।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়া প্রতিটি শিশুর নিকট তার শিক্ষক কথায় ও কাজে, পোশাক ও রুচিতে, পেশায় ও কর্তব্য পালনে আদর্শবান, ধর্মপ্রাণ,সত্যপ্রিয়, অনুসরণীয়, রোল মডেল,জ্ঞানের উৎস এবং অফুরন্ত জ্ঞানের ভাণ্ডার।প্রাথমিক স্তরের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের করতে হয় অক্লান্ত পরিশ্রম।একজন আদর্শ শিক্ষক হিসেবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক্রা তাদের শিক্ষার্থীদের সাথে বন্ধুসুলভ আচরণের মাধ্যমে শেখন – শেখানো কার্যাবলির সকল ধাপ সম্পন্ন করে থাকেন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রদর্শিত পথে শিক্ষার্থীরা তাদের ভবিষ্যৎ জীবনকে পরিচালিত করে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা পেশায় হালাল উপার্জন করা যায়, নিজেকে সৎ রাখা যায়। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে পেরে আজ আমি গর্বিত। মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, যত দিন এই মহান পেশায় নিয়োজিত থাকি যেন সততা ও নিষ্ঠার সাথে নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে পারি।