গনগনে আগুনের মধ্য থেকে ফুটে ওঠা ফুল, পাপড়ি চোখের জলে ভিজে ভিজে, ধুয়ে গিয়েছিলো জরা।
পরিশুদ্ধ মিনতিতে জেগে ছিলো চোখ,
তারার আলোয় জ্বলে ছিলো কত কথা।
সরস পাপড়ি যুগলে নিষ্কম্প ভাষা,
মধু সমীরণে করেছিলো খেলা।
আকন্ঠ বিষের আগুনে পুড়ে পুড়ে
পরিশুদ্ধ প্রাপ্তির প্রথম প্রশ্ন
আজো, আজো আছো কি সেই তেমনি?
আমার অতি লালিত সেই কথা,
বারবার মরে যেতে ইচ্ছে হয়
ভালো কিছু পেলে, ভালো কিছু খেলে,
ভালোর পাখিটা যদি সুখের ডানা ম্যালে,
বারবার মরে মরে বেঁচে ওঠে বৈচিত্র সময়।
বিষ বিষন্ন সময় ব্যাথাতুর বৈচিত্রময়,
বিয়োগ বিরহ কান্নায় প্রাণের ছোয়ায়
এখন ধরেছে ছ্যাদলা।
সময়ের বল্গাহারা পাগলামি প্রত্যয়ের পশ্চাতে
ছুটে চলে প্রাণান্ত, ভালোবাসা হোঁচট খায়
লৌকিকতার নিরুপায় পায়ে।
অতি আদরে গায়ে জড়িয়ে থাকা বয়স্ক লতা
এলিয়ে দিয়েছে শক্তি,
অপেক্ষার মিষ্টি বাতাসে তীব্র ঝাঁঝ ।
ভিজে চুলের বেণীগাঁথনের ফাঁদে
এখন আর গোপনে জন্ম নেয়না সেই
মিষ্টি মাদকতা গন্ধ।
সহানুভূতি, ভালোবাসা, ভালোলাগার স্পর্শ সুখ
গন্ডারের চামড়া। পরাধীনতার শিকলে বাঁধা ইচ্ছা
কেঁদে ফেরে প্রিয়ার চোখে, সন্তানের প্রসারিত
দু বাহুতে।
বারবার প্রতিবারের পরিচ্ছন্নতায় সংশয়ের হাতছানি,
তবু চিত্তে প্রফুল্লের ঘোষনা, এ, সময়ের প্রায়শ্চিত্ত।
নিজেকে লুকানোর অব্যর্থ প্রতিযোগিতায় নেমেছে
মুখোস পরে মুখোস ধারী। এরা পাপের গর্তে হাঁত
দিয়ে খোজে পাপ, উদর পূর্তি তে সময় খুঁজে ফেরে বৈচিত্র।
দুঃখ নেই কোনো, যদি বারবার বাঁচি ভালো কিছু ভালোবাসতে আবার।
তোমার অতল চোখের হাসি গভীর চাওয়া যেন,
আছড়ে পড়ে হাজার আক্ষেপের শুষ্ক বুকে।
ভুরু যুগল ঘুরেঘুরে দাগ কাটে, ঝুল দেয়া মনের গাদি পাকন ঘরে।
এতো কথা? এতো ভাষার জোয়ারে জলোচ্ছ্বাস, ঐ চাঁদের অবয়বে? ভেসে যায় দূ…রে বহুদুরে,
ফিরে আসি আবার মরে মরে বাঁচবো বলে।