বিশেষ প্রতিনিধি বগুড়া: বগুড়ার নন্দীগ্রামে যুব উন্নয়ন অফিস থেকে গরু মোটা তাজাকরণের ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে নন্দীগ্রাম উপজেলার হিন্দু সম্প্রদায়ের ১৬০ জন ভুক্তভোগীদের নিকট থেকে ১৪ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নন্দীগ্রাম উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ও তার সহকারী কর্মকর্তা সহ স্থানীয় রাজু নামের এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে।
বুধবার (২১মে) ১৬০ জন ভুক্তভোগীরা তাদের গচ্ছিত টাকা ফেরত নেওয়ার জন্য এদিন সকাল থেকে যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার অফিসের সামনে অবস্থান নেন। তাদের অবস্থানে বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে থানা পুলিশ এসে পরিবেশ শান্ত করে দেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভুক্তভোগীদের যুব উন্নয়ন অফিসে অবস্থান করতে দেখা গেছে।
ভুক্তভোগীরা গত ২০মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে উপজেলার গুন্দইল গ্রামের ভুক্তভোগী জুঁথি রানী। অভিযোগে উল্লেখ করে জুঁথি রানী বলেন, গরু মোটা তাজা করণ ও ঋণ প্রাদান প্রসঙ্গে আমাদের সাথে কথা বলে ১লক্ষ টাকা ঋণ প্রদানের আশ্বাস দেয় নন্দীগ্রামের যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আব্দুর রউফ, তার সহকারী যুব উন্নয়ন অফিসার ইব্রাহিম ও রাজু। যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার প্রতিনিধি হিসেবে রাজুর কাছে সঞ্চয়ের টাকা জমা দিতে বলে।
আমরা ১৬০ জন সদস্য সবাই ৬ থেকে ৯ হাজার টাকা করে সঞ্চয়ের জন্য রাজুর কাছে জমা দেই। জমার মোট টাকার পরিমান ১৪লক্ষ টাকা। উক্ত টাকা জমার নয় মাস অতিবাহিত হলেও আমরা ঋণ চাইলে কোন ঋণ দেয়না এবং আমাদের বিভিন্ন ভাবে সময় দেয়। এতে আমরা ঋণের টাকার আশা ছেড়ে দিয়ে আমাদের গচ্ছিত টাকা ফেরত চাই। গচ্ছিত টাকার বিষয়ে আজ দিব কাল দিব বলে নানা ধরনের তালবাহানা করে আজ এখন পর্যন্ত কোন টাকা ফেরত দেয়না। এতে আমরা কৃষক শ্রেণীর প্রান্তিক জনগণ সর্বস্ব হারিয়ে খুব দুঃখের সাথে জীবন যাপন করছি। বিষয়টি নিয়ে জুঁথি সহ সকল ভুক্তভোগীরা গচ্ছিত টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
জানতে চাইলে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আব্দুর রউফ বলেন, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার ১৪ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগটি সম্পর্ন মিথ্যা। শুনেছি রাজু নামের এক ব্যাক্তি অফিসের নাম ভাঙ্গিয়ে তাদের নিকট থেকে টাকা হাতিয়ে নিতে পারে বলে মনে হচ্ছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে। তবে উক্ত রাজুর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।