স্টাফ রিপোর্টার মোঃ লতিফুর রহমান (লতিফ) বগুড়া
দু’দিনের। একদিন তোমার পক্ষের, অন্যদিন বিপক্ষের। তাই যেদিনটি তোমার পক্ষের, সেদিন দম্ভে বেপরোয়া হয়ো না। আর যেদিনটি বিপক্ষের, সেদিন ধৈর্যহারা হয়ো না। কেননা দু’দিনই তোমার জন্য এক ধরনের পরীক্ষা ————হযরত আলী (রা.)
একজন ভিডিও কন্টেন্ট নির্মাতা বগুড়া জেলা বিএনপিকে দুর্ব্বল করতে আত্মকলহ সৃষ্টি করার জন্য একটি প্রতিবেদন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছে। হয়ত কেউ কেউ এতে মজা নিয়েছেন, এমনটি অতীতেও হয়েছে পতিত সরকারের সময় বিরামহীনভাবে। না এটার লক্ষ্য রেজাউল করিম বাদশা একা নন গোটা বিএনপি। বগুড়া জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান, গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, আলী আসগর তালুকদার হেনা, মাফতুন আহম্মেদ খান রুবেল, হেলালুজ্জামান তালুকদার লালুভাই সবার জন্য এটা একটা সংকেত। সারাদেশে যে ভাবে বিএনপির উপর অপপ্রচার চালিয়ে আক্রমন করা হচ্ছে জনমনে নেতিবাচক ধারনা দিতে এটা তারই অংশ।
শেষ করতে চাই একটা গল্প দিয়ে “সমুদ্রের অথৈ পানিতে একটি শিশুর জুতো হারিয়ে গেল। জুতো হারানোর কষ্টে সে সমুদ্রপাড়ে লিখে রাখল, “এই সমুদ্রটি চোর!”
অনতিদূরে একজন জেলে মাছ শিকার করছিল। সে বেশ কিছু মাছ শিকার করে আনন্দে আটখানা হয়ে যাবার কালে সমুদ্র পাড়ে লিখে রাখল,
“এই সাগর খুবই দয়ালু!”
এ সমুদ্রেরই উত্তাল ঢেউয়ে একজন টগবগে যুবকের সলীল সমাধি ঘটল। সন্তানহারা মা ব্যথায় কাতর হয়ে সমুদ্রপাড়ে লিখে রাখল, “এই সমুদ্রটি খুনি!”
আবার এ সমুদ্র থেকেই একজন অশীতিপর বৃদ্ধ কিছু মুক্তা কুড়িয়ে পেল। খুশির আতিশয্যে সে সমুদ্রপাড়ে লিখে রাখল, “এই সাগরটি কতোইনা দানশীল”!
একটু পর সমুদ্র থেকে ভয়ানক গর্জন করে দৈত্যের মতো ধেয়ে আসলো কতগুলো ঊর্মিমালা। সমুদ্রপাড়ে যা কিছু লিখা ছিল, সব ধুয়ে মুছে নিয়ে চলে গেল! এরপর সমুদ্র খুবই শান্তকন্ঠে বলল
“তুমি অন্যের কথায় কান দিও না যদি সমুদ্র হতে চাও!”
কষ্ট করে বড় লেখা পড়ার জন্য ধন্যবাদ।