মোঃ আরিফ হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুরের দত্তপাড়া ইউনিয়নের পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ইমাম হোসেন সুমন খানকে হয়রানির করার অভিযোগ উঠেছে। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও বিভিন্ন দপ্তরে সাজানো অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি । এ ঘটনায় তিনি প্রশসানের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
সুমন খান বলেন, আমি আমার পৈত্রিক সম্পত্তিতে ভবন নির্মাণ করতেছি। কিন্তু পাশ্ববর্তী প্রবাসী আহসান উল্যা তার স্ত্রী হোসনেয়ারাকে দিয়ে আমাকে হয়রানি করাচ্ছেন। গণমাধ্যমকেও ভূল তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রচার করাচ্ছে।
তিনি বলেন, দত্তপাড়া ইউনিয়নের দরজীপাড়া মৌজার ১৩৬ নম্বর খতিয়ানে ১২৫ নম্বর দাগে ৬ শতাংশ জমি রয়েছে। জমির মালিক আমার বাবা মনির আহাম্মদ। কিন্তু আমাদের প্রতিবেশি আহসান উল্যা ও তার স্ত্রী হোসনেয়ারা ওই জমিন তাদের মালিকানা দাবি করে আমাদের হয়রানি করে আসছেন। এ নিয়ে আদালতে মামলাও করেছে। এছাড়া থানা পুলিশের কাছে একাধিকবার লিখিত দিয়েছে। স্থানীয়ভাবে বেশ কয়েকবার শালিসি বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে কাগজপত্র পর্যালোচনা করে তাদের জমির মালিকানা নেই বলে রায় হয়। কিন্তু তারা স্থানীয়দের সিদ্ধান্ত মেনে না নিয়ে বার বার আমাদেরকে হয়রানি করে আসছেন।
তিনি আরও বলেন, হোসেনেয়ারাদের ১২৫ নম্বর দাগে কোন জমি নেই। তবে ২০৪ নম্বর খতিয়ানে ১২১, ১২৪, ১২৯, ১৩০ ও ১৩১ দাগে তাদের জমি রয়েছে। ওই দাগগুলোর একটি অংশের জমি পুকুরেও আছে। কিন্তু তারা পুকুরের জমি না নিয়ে আমাদের মালিকানাধীন অন্য খতিয়ানের ১২৫ দাগের জমি দখল করার পাঁয়তারা করছে। আমি আমাদের জমিতে দোকানঘর নির্মাণ করতে গেলে তারা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং হয়রানি করছে। আমি এর প্রতিকার চাই।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. বেলাল, শামীম ও সুমন বলেন, এ জমিটি মেম্বার সুমনদের। দীর্ঘদিন থেকে আমরা তাদের দখলে দেখে আসছি। এ দাগে হোসেনেয়ারাদের কোন জমি নেই। হয়রানির উদ্দেশ্যে তারা বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিচ্ছে। স্থানীয়ভাবে শালিশ বৈঠক হয়েছে। ওইসব বৈঠকে আমরাও ছিলাম। কিন্তু শালিসের রায় না মেনে তারা মেম্বার সুমনকে হয়রানি করছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত হোসনেয়ারা বেগম বলেন, রাস্তা থেকে বাড়ি পর্যন্ত জমিটি আমাদের কেনা। কিন্তু সুমনরা তা জোরপূর্বক দখলের পাঁয়তারা করেন। এনিয়ে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাব্যুনালে মামলা চলমান রয়েছে। মামলা নিষ্পত্তি না হতেই সুমন দোকান নির্মাণ কাজ শুরু করেন।